Write your experience of the lockdown period due to covid-19 in Bengali

আমার সকল বন্ধুদের জানাই হ্যালো, অনেকদিন ধরেই আমি লক্ষ্য করছি এখন স্কুল গুলির প্রজেক্টের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে হয়ে উঠেছে এই "কোভিট 19 এর সাথে নিজের অভিজ্ঞতা "। আমার বোনেরই স্কুলে এই প্রজেক্টটি দিয়েছে এবং আরও অনেক স্কুলেই দিয়েছে। কারোর স্কুলে 200 টি শব্দে আবার কারোর স্কুলে 500 টি শব্দে এই প্রজেক্টটি লিখতে দিয়েছে ।

এমন সময়ে কিছু কিছু ছাত্রছাত্রীদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে যে এই প্রজেক্টে কি কি বিষয় লেখা যায়, কোন কোন টপিকে লিখতে পারলে প্রজেক্টা বেশি ভালো দেখাবে ইত্যাদি । এই সমস্যাটি মেটাতে তারা বিভিন্ন website, page, blog এবং ভিডিও-এর সন্ধান করছেন কিন্তু এমন বিষয় সম্পর্কে কোনো তথ্য তারা খুঁজে পাচ্ছে না । তাই আমি ঠিক করলাম এই বিষয়টি নিয়ে একটা সাধারণ blog এর মাধ্যমে আপনাদের এটা বুঝতে সাহায্য করি যে এখানে আপনার কি কি জিনিস লিখতে পারেন এই নিয়ে এই ব্লগটি আপনাকে একটা সাধারণ ধারণা দেবে।

শুরু করার আগে আমি একটা সাজেশান দিতে তাই যে আমার এই রচনাটিতে আপনি যদি নিজের থেকে কিছু লাইন জড়ানো তাহলে আপনার এই লেখাটা অন্যদের থেকে কিছুটা আলাদা হবে এবং আপনাদের টিচাররা পড়লে সবার আলাদা আলাদা রচনা পাবেন ফলে এতে আপনাদের লাভ হবে।

তাহলে শুরু করা যাক--

বর্তমানে 2021 সাল তার শেষের পথে এবং 2022 তার আগমনের পথে। এখন ভারতে তথা বিশ্বে 20th March 2020 এই তারিখটা আমাদের জীবনে নিয়ে এলো এক বিরাট বাঁধা, দীর্ঘ পরাধীনতার এবং আবদ্ধ শৃঙ্খল যা কাটানোর জন্য মানুষে তারা প্রাণ ক্ষয়ে করে হয়েছে |

সময়টা হল Dec 2019,

এটাও প্রতিদিনের মতো আর একটি দিন । আজকাল রাস্তায় কিছু মানুষ আলোচনা করছে যা আমার বাবা রাতে কাজ থেকে ঘরে ফিরে আমাদের বলে " খবরটা চালাতো বাইরে সবাই আলোচনা করছে একটা নাকি নতুন রোগ এসেছে, চিনে নাকি অনেক মানুষের হচ্ছে " কিন্তু খবরে কিছুই দেখাচ্ছে না । শুধু এটাই বলতে বলতে কাটলো কিছু দিন ।

সময়টা হল 20th March 2020,

আমার দাদার lX এর test exam শুরু হয়েছে এবং আজ সমস্ত Math Exam ছিল । তবে March মাসের শুরুতে লোকজনের কাছে এই চিনের রোগের কথা একটু জোরালো হয়েছে । রাতে খেতে বসে 9:00PM এর খবরটা চালানোর পর দেখলাম ভারত সরকার 15 দিনের জন্য পুরো দেশে লকডাউন করে দিয়েছে সব কিছু বন্ধ, পরীক্ষা বাতিল, স্কুল কলেজ বন্ধ, শুধু জরুরি পরিষেবা চালু আছে । খবরে কারন হিসেবে দেখাচ্ছে যে চিনের হোয়ান শহরের একটি ল্যাব থেকে একটা ভাইরাস চিনে ছড়িয়ে পড়েছে যার নাম করোনা ভাইরাস অথবা Covid-19।

এখন ভারতেও কিছু মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে । বাকিদের মতো আমাদের ঘরে ভয়ের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ছিল। এখন এরকম পরিস্থিতির আমি কখনো সম্মুখীন হয়েই নি । আমার এই বিষয়ে একটুও ধারণা ছিল না যে এমন পরিস্থিতি আমাদের দেশে হতে পারে । খবরের চ্যানেল চালালেই দেখাচ্ছে যে প্রতিদিন দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে লকডাউন হয়েছে এবং দিন দিন এই ভাইরাসের আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বৃহত্তর হারে বেড়ে চলেছে সাথে সাথে মৃত্যুর হার বাড়ছে ।

আমাদের সাড়াদিন শুধু ঘরে থাকতে হতো । ঘরে থেকে অনেক সমস্যা সম্মুখীনও হতে হয়েছে যেমন online class করে করে ঘাড় ব্যথা, মাথা ধরা, কাঁধে ব্যথা, চোখ ব্যথা কারণ দিন অর্ধেকের বেশি সময় ফোনে সামনেই কাটাতে হতো।

এমন ভাবেই লকডাউনে কেটে গেল গোটা একটা বছর এবং এই এক বছরে বিশ্ব জুড়ে প্রান গেলো অনেক মানুষের । এখন জীবন বাঁচানোর জন্য নতুন নতুন বিধি মানার এবং লকডাউনে মেয়াদ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হল। গোটা একটা বছর লকডাউনে কাটলো।
আমি এই লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরায়িনি। দিনে স্কুল থেকে দেবা Activity task, Project করতে করতে বিকাল পর্যন্ত সময়ে কেটে যেতো। সন্ধ্যা বেলা ঘরে বসেই বিভিন্ন indoor games যেমন দাবা, লুডো, ব্যবসায়ী ইত্যাদি খেলে, কখনো মায়ের হাতে হাতে কাজ করে, কখনো দাদার সাথে Quiz খেলে এবং বন্ধুদের সাথে ফোনে কথা বলে দিন কাটতো।

এই লকডাউনে সবাই কিছু না কিছু জিনিস শেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেছে তাদের মধ্যে আমিও একজন, আমি লকডাউনে Quiz এর মাধ্যমে বিশ্বে বিভিন্ন দেশের ব্যাপারে, পৃথিবীর ব্যাপারে, অনেক ঘোরার জায়গার ব্যাপারে জ্ঞান লাভ করেছি । তারপর বিভিন্ন উৎসব, জাতীয় দিবস গুলিতে আমাদের স্কুলে স্যার/ম্যাডামরা অনলাইনেই তা আয়োজন করেছেন এবং আমাদের আনন্দ উপভোগ করিয়েছেন ।

আর এখনতো আর বেশি দিন না, covid-19 এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার করে ফেলা হয়েছে আর সুখবর হল এই ভ্যাকসিন এর দৌড়ে আমাদের দেশ প্রতিদিন নতুন নতুন রেকর্ড বানাচ্ছে এবং অন্য দেশ গুলোকেও পথ দেখাচ্ছে । আমি এই প্রার্থনা করি যে এই মারন ভাইরাসের কবলে পড়ে আরোর প্রান না যায় ।

আশা করি আমাদের সমাজ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে এবং আমরা আবার স্বাভাবিক ভাবে সমাজ চলা ফেরা করতে পারবো ।

If you have any doubts, Please let me know

Post a Comment (0)